সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনাশাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত সু চিকে এই কারাদণ্ড দেয়। সু চির সঙ্গে তার সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত শন টার্নেলকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছ
আরোও পড়ুন:
বদলগাছীতে ভুয়া এতিমদের তালিকা করে এতিমের টাকা লোপাট
জনস্বীকৃত পল্লীবন্ধু খ্যাতি মুছে ফেলার চেষ্টা সফল হবে না- জাপা নেতা ইকবাল রাজু
দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই আইনের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড। তবে সু চি ও তার উপদেষ্টাকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অবশ্য উভয় ব্যক্তিই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। রাজধানী নেইপিদোর রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।
রয়টার্স বলছে, এখন পর্যন্ত রায় ঘোষণা হওয়া বিভিন্ন মামলায় অং সান সু চিকে ১৭ বছরেরও বেশি করাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সু চি অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন। শন টার্নেল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক। সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর সু চির পর তিনিও আটক হন।
বৃহস্পতিবারের এই রায় নিয়ে অবশ্য এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে জান্তা জোর দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী সুবিধা পাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।